হট ভয়েস

কিভাবে আপনার ব্লগের জন্য এসইও অপ্টিমাইজড আর্টিকেল লিখবেন?

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ভালোই।

আজ আমি আলোচনা করব এসইও এবং ব্লগিং এই দুটো বিষয় নিয়ে। ব্লগিং ও এসইও দুইটা জিনিসের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক আছে। এখন অনেকেই ব্লগিং শুরু করেছেন এবং নিজের ব্লগ তৈরি করছেন। তাই, নতুন ব্লগাররা নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন কিভাবে একটা ভাল এসইও করা আর্টিকেল লিখব? আর এজন্য নিশ্চয়ই গুগলেও প্রচুর সার্চ করা হয়েছে! কিন্তু চিন্তা করবেন না – এই লিখায় আমি আপনারদের দেখাবো কিভাবে একটি এসইও অপ্টিমাইজড ব্লগ আর্টিকেল লিখবেন অত্যন্ত সহজে।


তাহলে আসুন দেখা যাক কিভাবে লিখবেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের উপযোগী আর্টিকেলঃ

১) আকর্ষণীও হেডলাইন বা টাইটেল

একটা আর্টিকেল লিখার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেটার হেডলাইন বা টাইটেল। তাই, আর্টিকেল লিখার সময় টাইটেলের দিকে গুরুত্ব দিবেন। এমন একটা টাইটেল দিন যেটা আপনার আর্টিকেলকে এক কথায় প্রকাশ করবে। আপনার টাইটেলে যেন আপনার মূল কি ওয়ার্ডগুলি থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন। পাশাপাশি টাইটেলে এমন কিছু ওয়ার্ড রাখবেন যেগুলি আপনার আর্টিকেল কে আরও আকর্ষণীও করে তুলবে।

২) সঠিক কি ওয়ার্ড নির্বাচন

আর্টিকেল লিখার আগে আপনার পছন্দসই কি ওয়ার্ড গুলি ঠিক করে নিন। সেগুলি ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখে নিন। যে সমস্ত কি ওয়ার্ড সম্পর্কে ভিজিটররা বেশি আগ্রহী সেগুলি বিভিন্ন টুলস ব্যাবহার করে নির্বাচন করে নিন।

৩) ইমেজ অপটিমাইজেশন

কোন কিছু লিখার সময় আমরা ওয়ার্ড গুলিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তবে, লিখার পাশাপাশি ইমেজকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। লিখার চেয়ে ছবি বেশি উপযোগী। একটা ছবি যেকোনো লিখাকে আরও আকর্ষণীও করে তুলতে পারে। পাশপাশি, ছবি আপনার পাঠকদের আপনার লেখার বিষয়বস্তু তুলে ধরতে অনেক সাহায্য করে। তাই, আপনার লিখার সাথে সম্পর্কিত ছবি ব্যাবহার করুন। ছবি ব্যাবহারের সময় এগুলি ভালোভাবে অপটিমাইজেশন করে নিন। এতে এসইও করতে অনেক সুবিধা হবে।

৪) ভিজিটররাই সবকিছু

আপনার ব্লগ/সাইট, আপনার লিখা, আপনার পোস্ট/আর্টিকেল সবকিছুর গুরুত্বই একটি জিনিসের ওপরে নির্ভর করে। সেটি হচ্ছে ভিজিটর। ভিজিটররাই আপনার ব্লগের প্রাণ তাই তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। তাদের কমেন্টগুলি ভালোভাবে পড়ুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার কোন কোন দিকে উন্নতি করতে হবে এবং ব্লগের উন্নতি করা যাবে। ভিজিটরদের চাহিদা মত ভালো ভালো আর্টিকেল লিখুন যেগুলি তাদের উপকারে আসতে পারে। এতে আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়বে।

আজ এই পর্যন্তই আমার আর্টিকেল। আশা করি আপনাদের এটা পড়তে ভালো লেগেছে। যদি কোন মতামত অথবা পরামর্শ থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি বলে ফেলুন আমাকে। আমি আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় বসে আছি।
সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।  

রুট কি কেন এবং কিভাবে? জানুন রুট সম্পর্কে সবকিছু!

সকলে কেমন আছেন? আমরা জানি  যে ইদানিং অ্যান্ড্রয়েড খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর অ্যান্ড্রয়েড এর সাথে আমরা আরও একটা জিনিসের নাম খুব শুনেছি। সেটা হচ্ছে- রুট। যারা নতুন অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহারকারি তাদের মনে প্রায়ই প্রশ্ন আসে যে রুট কি? তাই আজকে আমার এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি রুট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা পাবেন। তাহলে আর দেরি কেন? পড়া শুরু করে দিন!

রুট কি? কেন রুট করবেন? রুট করলে সুবিধা ও অসুবিধা কি? আসুন আজ আমরা তা জেনে নেই

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রায়ই শুনে থাকবেন এই শব্দটি । বিভিন্ন সাইটে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক ধরনের ধারনা রয়েছে । তবে আজকে আমার প্রাথমিক ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি । অনেক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীরাই রুট কী এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না । অনেকে মনে করেন রুট করার মাধ্যমে ডিভাইসের পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব, আর তাই অনেকেই রুট করতে আগ্রহী হয়ে পড়েন । কিন্তু রুট করার পর দেখা যায় তাদের ডিভাইসের পারফরম্যান্স আগের মতোই রয়ে যায় বা আগের চেয়ে খারাপ হয়ে পরে । তারা হতাশ হয়ে পড়েন এ অবস্থা দেখে । কিন্তু তাদের মাঝে অজানাই থেকে যায় যে রুট করার আসল সার্থকতা কোথায় । আজকের আমি আমার এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের সামনে রুট করার কারন , কেন করবেন , রুট করার উপকারিতা এবং অপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করব । এবং আমার ধারনা আপনাদের মনে রুট কি বিষয়টি নিয়ে আর কোন সন্দেহ মুলক ধারনা থাকবে না ।

রুট ব্যাপারটা আসলে কী?

রুট শব্দটি এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম থেকে । লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয় । সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায় , রুট হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক যদিও এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড় । রুট হচ্ছে একটি পারমিশন বা অনুমতি । এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী তার নিজের ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেননা , লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজগুলো করা সম্ভব হয়ে উঠে না । যার লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে সব কিছু করার অনুমতি রয়েছে, তাকেই আমরা রুট ইউজার বলে থাকি । অনেক সময় একে আমরা সুপার ইউজার বলেও সম্বোধন করা হয়ে থাকে ।

অ্যান্ড্রয়েড এবং লিনাক্স এর মধ্যে সামঞ্জস্য কোথায় ?

আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কেন আমি আন্ড্রয়েড নিয়ে কথা বলতে বলতে লিনাক্স এর কথা তুলে নিয়ে আসলাম । আসলে এন্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম মুল ভিত্তি থেকে ।

লিনাক্স এ ইউজার পারমিশন আমরা খুব সহজে পেয়ে থাকি কিন্তু আমরা এন্ড্রয়েডে পারি না কেন ?

সাধারনত লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম আমরা ইন্সটল করতে পারি তার তাই আমরা ইউজার পারমিশন কোড আমরা জেনে থাকি । কিন্তু আন্দ্রয়েড মোবাইল আমরা বাজার থেকে ক্রয় করে থাকি এবং তার অপারেটিং সিস্টেম সিস্টেম ইন্সটল ডিভাইস প্রস্তুতকারক করে থাকে । ডিভাইস প্রস্তুতকারক যখন মোবাইলের মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে তখন তাদের হাতে এই ইউজার পারমিশন কোড থেকে যায় । আর তাই আমাদের হাতে সেই ইউজার পারমিশন থাকে না । এখন আপনার প্রশ্ন আসতে পারে কেন আমাদেরকে এই ইউজার পারমিশন কোড দেওয়া হয় না । আসলে ডিভাইস প্রস্তুতকারক মোবাইলের সুরক্ষা এবং নিরপ্ততার জন্য আমাদেরকে এই কোড দিয়ে থাকে না ।
কিন্তু তাই বলে এই নয় যে আমরা ইউজার পারমিশন কোড পাব না । আমরা ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে আমরা এই কোড সংগ্রহ করে এন্ডয়েড মোবাইলের ইউজার পারমিশন পেতে পারি । উদাহরণ হিসেবে আমি বলতে চাই সনি , HTC এর মত ব্রান্ড এর মোবাইল যখন ব্যবহার করি তখন আমরা তার ইউজার পারমিশন পাওয়ার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুটলডার আনলক কোড সংগ্রহ করে থাকি । এই বুটলডার আনলক রুট পারমিশন পাওয়ার একটি অংশ ।

আন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এক হওয়া সত্ত্বেও ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল ভিন্ন রকম এর কারন কি ?

আপনাদের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে যে যতগুলো মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের সবার ভিন্ন ভিন্ন লুক এর অপারেটিং হয়ে থাকে । অপারেটিং সিস্টেমের মূল ভিত্তিটা এক হলেও একেক কোম্পানি একেকভাবে একে সাজাতে বা কাস্টোমাইজ করতে পারেন । এই জন্যই সনির একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইউজার ইন্টারফেসের সঙ্গে এইচটিসির একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইন্টারফেসের মধ্যে খুব কমই মিল পাওয়া যায়।

আন্ড্রয়েড মোবাইলে কেন রুট করা থাকে না ?

মোবাইল প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান যখন তাদের মোবাইল গুলো বাজারজাত করে তখন মোবাইল গুলোতে রুট পারমিশন দেওয়া হয় না । কারন হল রুট পারমিট করা থাকলে আপনি তখন আপনার মোবাইলে যে কোন কিছু করতে পারবেন । আপনি মোবাইলের রুট ফোল্ডাররে যেতে পারবেন ( মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম ফোল্ডার ) ।  আপনি যে কোন ফাইল ডিলিট , এডিট করতে পারবেন । আপনার মোবাইলে যখন রুট পারমিট করা থাকবে তখন আপনি কোন ফাইল ডিলিট বা সরিয়ে নিলে আপনাকে কোন ওয়ার্নিং দিবে না । আপনি হয়ত মনে করছেন এই ফাইল গুলো আপনার কোন প্রয়োজনে আসবে না আর তাই আপনি ফাইল গুলো ডিলিট করে দিয়েছেন । হয়তো আপনি কাস্টমাইজ করতে গিয়ে বা রম ইন্সটল করতে গিয়ে ভুল করে ফোন ব্রিক করে ফেলেছেন । এতে কিছুক্ষণ পর দেখতে পারলেন যে আপনার মোবাইল আর চালু হচ্ছে না । আপনি তখন আপনার মোবাইল প্রস্তুত কারকে দোষারোপ করতে থাকবেন । যদি রুট না থাকতো তাহলে আপনি ফাইল গুলো ডিলিট এডিট তো দুরের কথা আপনি আই ফোল্ডারটি খুজে পেতেন না । ফোন প্রস্তুতকারক আপনাকে অনেক সুযোগ সুবিধা দিলেও এই সব পারমিশন তারা তাদের সুবিধার্থে দেয় না । এটা করা হয় আপনার ভালোর জন্যই ।

কেন আপনি আপনার আন্ড্রয়েড ডিভাইসটি রুট করবেন?

আপনি তখনি রুট করার চিন্তা করবেন যখন আপনার মোবাইলে সব ধরনের সুযোগ ব্যবহার করতে পারছেন না , আপনার মোবাইল আপনাকে কোন সীমার মধ্যে বেধে রেখেছে । যারা একদমই নতুন এই বিষয় ভালভাবে কিছু জানেন না তারা তাদের মোবাইল রুট করার চিন্তা  কিছুদিন পর করার সিদ্ধান্ত নিবেন । তার কারন আপনি আগে ভাল করে বুঝে নিন কেন আপনি রুট করবেন , এবং রুট করার পর আসলেই আপনার উপকার হবে কি না । অনেকে না বুঝে রুট করে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে । তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি সাবধানতার মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল রুট করুন ।
আমরা আসলে অনেক কারনে আন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করে থাকি । বর্তমানে কিছু কিছু অ্যাপ্লিকেশান এখন বের হয়েছে যা ব্যবহার করতে রুট পারমিটের প্রয়োজন হয়ে পড়ে । কেউ কেউ ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে মোবাইলের স্পীড বাড়ানোর জন্য রুট করে থাকেন । কেউ ডেভেলপারদের তৈরি ভিন্ন ভিন্ন সাধের কাস্টম রম ব্যবহার করার জন্য , কেউ গেম খেলার জন্য । আরও অনেক কারন আছে যেই কারনে রুট করা হয়ে থাকে । এই কারন গুলো থেকে থাকলে রুট করা আমি মনে করি ভাল । কিন্তু অকারন অবশত রুট করে বিপদে পড়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছি না ।

রুট করার কিছু সুবিধা  —

বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইলের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা । এছাড়াও মোবাইলের পারফরমেন্স বাড়ানো যায় বলে আর অনেক ভাবে । ওভারক্লকিং করা সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করে । এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায় । যখন মোবাইল এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা যায় আন্ডারক্লকিং করে । এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব । এছাড়াও রুট করে কাস্টম রম ইন্সটল করার সুবিধা রয়েছে । অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় মোবাইলের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন । এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার মোবাইলকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন । আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার রাম এর স্পীড বাড়াতে পারবেন , প্রসেসরের স্পীড বাড়াতে পারবেন তবে কোন হার্ডওয়্যার বা অন্যান্য কোন কিছু বাড়াতে পারবেন না । আপনি ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাকে ১৬ মেগাপিক্সেল করতে পারবেন না । যেই মোবাইলে NFC নেই তাতে তা সংযোগ করতে পারবেন না । রুট শুধু মাত্র আপনার অভ্যন্তরীণ পারফরম্যান্সে কাজে আসবে , বাহ্যিক কোন পরিবর্তন নয় ।

রুট করার কিছু অসুবিধা রয়েছে  —

সর্ব প্রথম মোবাইল রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে । তাই রুট করার আগে সাবধান । অবশ্য অনেক মোবাইল আবার আনরুট করা যায় । আর মোবাইল আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল কি না । তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া বাধ্যতামূলক । অনেকে মোবাইল ব্রিক নিয়ে অনেক কথাই বলেছে। এখন কথা হল ব্রিক মানে কি ? ব্রিক অর্থ ইট । আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা বা নষ্ট হয়ে যাওয়া । অর্থাৎ আপনার মোবাইল কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে । রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে । প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যাতে আপনার মোবাইলের কোন ক্ষতি না হয় । রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন । এখন এর সম্পূর্ণ দায়ভার আপনাকে গ্রহন করতে হবে । রুট করলে দেখা যায় অনেক সময় অনেক ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম রুট করা ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে । কিন্তু লক থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারী নিজেই রুট অ্যাক্সেস পান না , তাই অন্য প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে ।
পরিশেষে যদি কিছু বলতে চাই তাহলে বলব যে কিছু করার আগে ভাল করে জেনে নেওয়া ভাল । রুট আপনি যদি ঠিক মত বুঝে নিতে পারেন তাহলে আপনার কাছে তা খুব এ সহজ আর যদি না পারেন তাহলে তা খুবই কঠিন …
আসা করছি আমার টিউন আপনাদের ভাল লাগবে । আপনাদের জন্য আর ভাল টিউন নিয়ে আবার হাজির হব আমি। কোনকিছু না বুঝলে মন্তব্য করুন। উত্তর দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করব

মহাবিশ্বের শেষ সীমানা কোথায়? জানেন কি?

কেমন আছেন আপনারা? চলুন আজকে একটু বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি।

আমাদের সবার মনের কোণায়ই কখনও না কখনও একটা প্রশ্ন উকিঝুঁকি মেরেছে যেটা হলো, আমরা যদি কখনও মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌছাতে পারি তাহলে কি হবে? খাদের কিনারায় দাড়িয়ে যেভাবে আমরা মাথা ঝুকিয়ে নিচে কি আছে দেখার চেষ্টা করি সেভাবে যদি মাথা ঝুকিয়ে দাড়াই তাহলে আমাদের মাথাটা কোথায় থাকবে? তখন তো মাথাটা আর মহাবিশ্বের সীমানার মধ্যে নেই? আমরা কি খুঁজে পাবো মহাবিশ্ব ছাড়িয়ে?


উত্তরটা কিন্তু খুবই হতাশাজনক কারণ আমরা কখনই মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌছাতে পারব না। এর কারনটা কিন্তু এই না যে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে, যদিও কথাটা সত্যি, কিন্তু আসল কারনটা হলো আমরা যদি মহাবিশ্বের বাইরের দিকে একটা সরলরেখা ধরে ক্রমাগত, বিরামহীণ ভাবে অনন্তকাল ধরে যেতেই থাকি তারপরও আমাদের পক্ষে কখনই মহাবিশ্বের শেষ সীমানায় পৌছানো সম্ভব হবে না। বরং আমরা যে জায়গা থেকে শুরু করেছিলাম সেখানেই আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। আর ততক্ষণে হয়ত আমাদের আরেকবার চেষ্টা করার উৎসাহ আর থাকবে না।

কেন পৌছাতে পারব না? কারন হলো আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সুত্রের সাথে সামন্জস্য রেখে স্পেসটা অদ্ভুত ভাবে বাঁকানো বা মোচড়ানো। যেটা আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে কল্পনা করা সম্ভব না। সহজ করে বলা যায় মহাবিশ্বটা বিশাল এবং নিরন্তর প্রসারিত হচ্ছে এমন কোনো বুদবুদের ভিতরে ভেসে বেড়াচ্ছে না। আমরা যখন বলি যে স্পেস প্রসারিত হচ্ছে আসলে সেটা ভুল। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্টিভেন ওয়াইনবার্গের ভাষায়, ” সৌর জগৎ বা তারকালোক গুলো প্রসারিত হচ্ছে না এবং স্পেস নিজেও প্রসারিত হচ্ছে না বরং তারকালোকগুলো (গ্যালাক্সি) একে অপরের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে।” মহাবিশ্বটা একই সাথে বাউন্ডলেস কিন্তু ফাইনাইট। এটা বোধগম্য করা আমদের ইনট্যুইশন বা অন্তর্জ্ঞানের জন্যে একটা বিশাল চ্যালেন্জ। জীববিজ্ঞানী জে.বি.এস হ্যালডেন মজা করে বলেছিলেন, ” মহাবিশ্বটা আসলে আমরা যতখানি ভাবি তার থেকেও বেশি অস্বাভাবিক বা যতখানি আমাদের ইমাজিন করার ক্ষমতা আছে তার থেকেও অনেক বেশি অস্বাভাবিক।”

স্পেসের বক্রতার ব্যাপারটা ব্যখ্যার জন্য একটা উদাহরণ ব্যবহার করা যেতে পারে। ধরুন এমন একজন লোক যে কিনা একটা সমতল পৃথিবীতে বাস করে এবং জীবনেও কখনও কোনো গোল জিনিষ দেখেনি। তাকে যদি আমাদের পৃথিবীতে এনে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সে আমাদের পৃথিবীর শেষ সীমানায় পৌছানোর জন্য হাটা শুরু করে তবে সে কোনোদিনই তা খুঁজে পাবে না। সে হয়ত এক সময় যেখান থেকে শুরু করেছিলো সেখানেই আবার ফিরে আসবে। এই ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে তাকে কিংকর্তব্যবিমূড় করে ফেলবে। সে কিছুতেই বুঝতে পারবে না এটা কিভাবে সম্ভব। আমরাও হচ্ছি আরও উঁচু মাত্রার স্পেসের মধ্যে সেই সমতল-ভূমির হতবুদ্ধি মানুষের মত।

মহাবিশ্বের যেরকম কোনো স্হান নেই যেখানে আমরা দাড়িয়ে বলতে পারব এইটা হচ্ছে এর শেষ সীমা সেরকম কোনো কেন্দ্রও নাই যেখানে দাড়িয়ে আমরা বলতে পারব এইটাই সেই যায়গা যেখান থাকে সব কিছুর শুরু হয়েছিলো বা এটাই মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু।
আমাদের জন্য মহাবিশ্বটা ততদূর লম্বা যতদূর পর্যন্ত আলো মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছে। এই দৃশ্যমান বিশ্ব, যেটা সম্পর্কে আমরা জানি বা যেটা নিয়ে কথা বলতে পারি, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন (১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০) মাইল ব্যাপি বিস্তৃত।এর পরে আরও যা আছে সেটার হিসাব হয়ত সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না।

সূত্র: এ শর্ট হিস্ট্রি অব নিয়ারলি এভরিথিং (বিল ব্রাইসন)।

কিভাবে ইন্টারনেটে নিজেকে রাখবেন নিরাপদ? চলুন দেখি…

সবাইকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এই ব্লগে আসার জন্য। আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইন্টারনেট সিকিউরিটি নিয়ে।


ইন্টারনেটে বিভিন্ন সময় আমরা ব্রাউজার হাইজ্যাকিংয়ে শিকার হয়ে থাকি।যার ফলে কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে,গুরুত্বপূন্র্‌ ডাট চুরি হয়ে যেতে পারে,হ্যাকিংয়ের শংকা বেড়ে যায়।কিছু বিষয় খেয়াল করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারেন আপনার ব্রাউজার হ্যাইজ্যাক হয়েছে কি না,যেমন-

১.ব্রাউজার চালু অবস্থায় ঘনঘন পপআপ উইন্ডো চালু হচ্ছে।
২.ব্রাউজার বন্ধ করার পরও কিছু সাইট সন্দেহজনকভাবে  চালু হচেছ।
৩.ব্রাউজার চালু করলে হোমপেজ হিসাবে নির্ধারিত সাইটের বদলে অন্য কোন সন্দেহজনক সাইট চালু হচ্ছে যা সর্ম্পকে আপনি মোটেও অবগত নন।
৪.ব্রাউজারের এ্যাড্রেসবারে কোন সাইটের ঠিকানা লিখলেই তা নির্দিষ্ট একটি সাইটে রিডাইরেক্ট হয়ে চলে যাচ্ছে।

ব্রাউজার হ্যাইজ্যাকের আশংকা কমাতে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

১.ব্রাউজারে কোন সর্তকতা বার্তা আসলে তা না পড়েই ক্লীক করবেন না।
২.সন্দেহজনক ইমেইল খুলবেন না।বিশেষ করে অপরিচিত ইমেইল থেকে আসা অ্যাটাচ ফাইল খুলবেন না এবং ইমেইলের উত্তর দেবেন না।
৩.ভাইরাসের কারনে এই সমস্যা হতে পারে।তাই নিয়মিত হালনাগাদ এ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
৪.উইন্ডোজের বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত ক্রটির কারনে এই সমস্যা হতে পারে।তাই উইন্ডোজের সিকিউরিটি প্যাচ হালনাগাদ করার চেষ্টা করুন।
৫.অকারনে পর্নোগ্রাফিক/crack/সিরিয়াল সাইটে প্রবেশ করবেন না।

আশা করি, আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। 

বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিন

কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা তাঁদের প্রয়োজনে অ্যাডোবি রিডার, অফিস, ফায়ারফক্স, ক্রোমের মতো সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করে রাখেন। কিন্তু বেশ কিছু অপরিচিত সফটওয়্যার আছে, যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাজে লাগতে পারে। প্রয়োজনীয় এই সফটওয়্যারগুলো আবার বিনা মূল্যেই পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীদের কাজে লাগবে এমন কয়েকটি সফটওয়্যার নিয়ে এই প্রতিবেদন।

ডেক্সপট

ডেক্সপট হচ্ছে বিনা মূল্যের ভারচুয়াল ডেস্কটপ সফটওয়্যার। আপনার পিসিতে একাধিক ডেস্কটপ তৈরি করার প্রয়োজন পড়লে এই সফটওয়্যার কাজে লাগাতে পারবেন। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে একাধিক ভারচুয়াল ডেস্কটপ তৈরি করে নেওয়া যায় এবং স্ক্রিনের কাজের পরিসর বাড়ানো যায়। প্রতিটি ভারচুয়াল ডেস্কটপ আলাদাভাবে কাজ করতে পারে এবং প্রতিটির আলাদা ওয়ালপেপার, রেজুলেশন ও আইকন সেট করা যায়। এক ডেস্কটপ থেকে আরেক ডেস্কটপে যাওয়ার সহজ সুবিধাও আছে। এতে কাস্টমাইজ করার সুবিধাও আছে। মাউস ও কিবোর্ড শর্টকার্ট দিয়ে প্রতিটি ডেস্কটপে যাওয়ার সুবিধাও রয়েছে।
ডাউনলোড করার লিংক http://download.cnet.com/Dexpot/3000-2346_4-10580780.html

রেইনমিটার

রেইনমিটার

উইন্ডোজে অপারেটিং সিস্টেমে ডেস্কটপ কাস্টমাইজেশন করার সুবিধা সীমিত। যাঁরা ডেস্কটপ কাস্টমাইজ করার সুবিধা চান, তাঁদের জন্য রেইনমিটার প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার হতে পারে। পুরো ডেস্কটপকে এ সফটওয়্যারটি ‘স্কিন’ হিসেবে রূপান্তর করে যাতে ব্যবহারকারী তাঁর সুবিধামতো উইজেট, নোট, অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারে। ডেস্কটপকে নিজের মতো করে সাজাতে রেইনমিটার কাজে লাগানো যেতে পারে। রেইনমিটার কমিউনিটি থেকে অসংখ্য স্কিন ডাউনলোড করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে রেইনমিটারের ওয়েবসাইট ( http://rainmeter.net/ ) থেকে।

কিপাস

যাঁরা পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না, তাঁদের জন্য প্রয়োজন এই সফটওয়্যারটি। নিরাপদে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার হচ্ছে কিপাস। আপনার গুরুত্বপূর্ণ সব পাসওয়ার্ড এই সফটওয়্যারটিতে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং একটি মাস্টারপাসওয়ার্ড দিয়ে তা সুরক্ষিত রাখা যাবে। একবার লক করে দিলে এই পাসওয়ার্ড ডাটাবেজ নিরাপদ এলগরিদমের মাধ্যমে এনক্রিপটেড হয়ে যায় বলে সহজে পাইরেসি করা সম্ভব নয়। এ সফটওয়্যারটি কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে ইন্টারনেটের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। কিপাস সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে এর ওয়েবসাইট (http://keepass.com  ) থেকে।

রেকুভা

রেকুভা

মনের ভুলে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মুছে ফেললে আফসোসের শেষ থাকে না। ক্যামেরার মেমোরি কার্ড, ইউএসবি ড্রাইভ, কম্পিউটার রিসাইকেল বিন কিংবা এমপিথ্রি প্লেয়ার থেকে মুছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারে রেকুভা সফটওয়্যারটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ সফটওয়্যারটি যদিও সব ফাইল ফেরত আনতে পারে না, তার পরও প্রয়োজনীয় অনেক ফাইল পুনরুদ্ধারে এ সফটওয়্যারটি কাজে দিতে পারে। রেকুভা ডাউনলোড করা যাবে এর নির্মাতা পিরিফর্মের ( http://www.piriform.com/recuva  ) ওয়েবসাইট থেকে।

রিভো আনইস্টলার

আপনার কম্পিউটারে কোনো ফাইল আনইনস্টল করার পরও কিছু ফাইল থেকে যেতে পারে। এর কারণে কম্পিউটারের গতিও কম হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে রিভো আনইনস্টলার সফটওয়্যারটি কাজে দেবে। এই সফটওয়্যার ইনস্টল করা হলে আনইনস্টল করা ফাইল স্ক্যান করে রিভো এবং কোনো ফাইল যদি আনস্টল করার পরও থেকে যায়, তা দূর করে এবং অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তা দেখাতে পারে। এ সফটওয়্যারটি এক মাস বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে। ডাউনলোড করার লিংক (http://www.revouninstaller.com  )

৭-জিপ

যাঁরা জিপ ফাইল নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাঁদের উইনজিপের চেয়ে আরও শক্তিশালী সফটওয়্যার দরকার হতে পারে। ফাইল আর্কাইভের সফটওয়্যার হিসেবে ৭-জিপ কাজে লাগাতে পারবেন। বিনা মূল্যের ওপেনসোর্স ৭-জিপ সফটওয়্যারটি সব ফরম্যাটের জিপ ফাইল তৈরি ও খোলার জন্য কাজে লাগানো যায়। ডাউনলোড করার জন্য যেতে পারেন ( http://www.7-zip.org  ) ৭-জিপ ওয়েবসাইটটিতে।

ব্লগের ভিজিটর বাড়ানোর কিছু কার্যকরী উপায় জেনে নিন!

সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালই 

আজ আমি ফিরে এসেছি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানাতে এবং সেটি হচ্ছে ব্লগের ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় সমূহ। আমাদের অনেকেরই নিজস্ব একটা ব্লগ আছে। আমরা সবাই চাই যে, আমাদের ব্লগটি যেন সকলের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়।


কিন্তু, বেশিরভাগ সময় অধিকাংশ ব্লগার এটা করতে পারেনা। তাই আজ আমি আপনাদের এমন কিছু টিপস দেবো যার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ব্লগের ট্রাফিক বারিয়ে নিতে পারবেন।

১। রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন

বেশিরভাগ সময় ব্লগাররা যেই ভুলটি করে থাকে সেটা হচ্ছে রেস্পন্সিভ ডিজাইনে গুরুত্ব না দেওয়া। আপনি কি জানেন আপনার ব্লগের মোট ভিজিটরের শতকরা ৬০ ভাগ ভিজিটরই হচ্ছে মোবাইল অথবা ট্যাবলেট ব্যাবহারকারি। তাই, সবাই যেন সাচ্ছন্দে ব্লগ ভিজিট করতে পারে এবং আপনার লিখাগুলি পড়তে পারে সেজন্য অবশ্যই ব্লগের রেস্পন্সিভ ডিজাইন তৈরি করে নেবেন। এটা প্নার ব্লগের ভিজিটর বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।

২। ইমেইল সাবস্ক্রিপশন

ইমেইল সাবসক্রিপশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার যেটা প্রত্যেকটি ব্লগে থাকা উচিত। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি ভিজিটরদেরকে সাবস্ক্রাইব করার সুবিধা দেবেন যাতে ভিজিটররা সাবস্ক্রাইব করলে সহজেই তার মেইল অ্যাকাউন্ট এ আর্টিকেল পেয়ে যাবে। এতে করে ভিজিটররা সবসময় ব্লগ সম্পর্কে আপডেটেড থাকবে এবং ব্লগের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে।

৩। স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন

এটি বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রিক যার মাধ্যমে অনেকেই ব্লগের ভিজিটর ধরে রাখছে এবং নিয়মিত নতুন নতুন ভিজিটর পাচ্ছে। বর্তমানে আমরা সকলেই অ্যাপ ব্যাবহারে অভ্যস্ত তাই যদি আপনি আপনার ব্লগের জন্য একটা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেন তাহলে দেখবেন সবাই অ্যাপ এর মাধ্যমেই ব্লগে ভিজিটর আনতে পারবেন এবং ব্লগের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবেন।

তো এই ছিল আমার আজকের বিষয়। আশা করি যে টিপস গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। যদি আপনার কোন পরামর্শ অথবা প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে বলুন। সবাই অসংখ্য ধন্যবাদ। 

মজার একটি গণিত ম্যাজিক! ভালো লাগবেই আপনাদের

সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালই। যাই হোক, আজ আমি আবার ফিরে এসেছি একটি মজার ট্রিক নিয়ে আপনাদের সামনে। ট্রিকটি আপনাদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।


এটি হচ্ছে একটি গনিতের ম্যাজিক। যদি সবাইকে একটু চমকে দিতে চান অথবা বন্ধুবান্ধবদের একটু আনন্দ দিতে চান তাহলে এই ম্যাজিকটি নিঃসন্দেহে অনেক ভালো হবে আপনার জন্য! তাহলে শুরু করা যাকঃ
১) প্রথমে আপনার বন্ধুকে যেকোনো একটি সংখ্যা মনে মনে ধরে নিতে বলুন।  যেমনঃ 
২) এবার সেই সংখ্যাটার সাথে তার পরের সংখ্যাটি যোগ করতে বলুন। যেমনঃ ১ ধরলে ১ এর পরবর্তী সংখ্যা ২ যোগ করতে হবে, ১+২=৩ এভাবে!
৩) এবার যোগফলের সাথে ১২৩ যোগ করতে বলুন। যেমনঃ ৩+১২৩= ১২৬ 
৪) এবার উক্ত যোগফলকে ২ দিয়ে ভাগ করতে বলুন। যেমনঃ ১২৬/২= ৬৩ 
৫) এবার ভাগফল থেকে আপনি যেই সংখ্যাটি মনে মনে ধরতে বলেছিলেন সেটি বিয়োগ করে দিতে বলুন। যেমনঃ ৬৩-১
তাহলে এবার উত্তরটা হবে ৬২

আসল রহস্যঃ

আপনি যেই সংখ্যাই ধরুন না কেন উত্তর সবসময় ৬২ হবে! এটাই গণিতের ম্যাজিক। তবে, বারবার একই জিনিস বললে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে! তাই ম্যাজিকটা একজনকে একবারই দেখান উচিত! 

আশা করি সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Designed by MS Design

Powered by Blogger